...

0 views

প্রিয় শিক্ষক
**“প্রিয় শিক্ষক”**

**অধ্যায় ১: স্মৃতির পথ ধরে**

শিক্ষক দিবসের আগের দিন। কলকাতার ব্যস্ত শহরের কোলাহলে ডুবন্ত রাজীব বসু হঠাৎই স্কুল জীবনের কথা মনে করে একটু উদাসীন হয়ে পড়েন। আজকের দিনের ব্যস্ত কর্মজীবনে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার, তবে এই সাফল্যের পেছনে তার প্রিয় শিক্ষকের অবদান ভোলার নয়। একসময় তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত দুর্বল ছাত্র, আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগতেন। তার জীবনে পরিবর্তন আসে ক্লাস সেভেনে, যখন মিস্টার রায় তার ক্লাস টিচার হন।

মিস্টার রায়, একজন কঠোর কিন্তু মননশীল শিক্ষক, যিনি শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতেন না, ছাত্রদের জীবনের মূল্যবোধ শেখাতেন। রাজীবের মা একদিন স্কুলে এসে জানিয়েছিলেন, রাজীবের পড়াশোনার আগ্রহ কমছে এবং তার মনোযোগ কম। সেই সময় মিস্টার রায় সিদ্ধান্ত নেন, রাজীবকে আলাদা ভাবে যত্ন নেবেন।

**অধ্যায় ২: মিস্টার রায়ের পাঠশালা**

মিস্টার রায় খুব ভালো করেই বুঝতেন, সব ছাত্র একইভাবে শিখতে পারে না। রাজীবের জন্য তিনি একটি ভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করেন। শুধু পড়াশোনার বাইরে জীবনের মূল কথা বোঝাতে শুরু করেন। একদিন ক্লাসের মধ্যেই, রাজীবের খাতা হাতে নিয়ে রায় স্যার বললেন, “তুমি যদি জীবনটাকে একটা গাছের মত ভাবো, কী পাবে বলো তো?”

রাজীব দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে তাকাল।

স্যার আবার বললেন, “গাছকে তোমাকে একটু একটু করে জল দিতে হবে, রোদ লাগবে, ছায়া লাগবে। ঠিক তেমনি, তোমার মেধাকে প্রতিদিন একটু একটু করে...