রাক্ষসী বৌ
রাক্ষসী বৌ
সে বহু কাল আগের কথা। সূর্যশেখর নামে এক বণিক বাস করত। তাকে বানিজ্য করতে দেশের নানান স্থানে ভ্রমণ করতে হতো।
একবার দুর এক দেশে ভ্রমণ করতে গিয়ে এক ব্যবসায়ীর সাথে সেই বণিকের পরিচয় হয় আর সেই সাথে দুজনের খুব বন্ধুত্ব হয়। একদিন ব্যবসায়ী সেই বণিক কে দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের আমন্ত্রণ করে। সেই মত বণিক ব্যবসায়ীর বাসায় হাজির হয়। ব্যবসায়ীর পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান ছিল তাকে দেখে বণিকের খুব পছন্দ হয় সে ব্যবসায়ী কে বলে "আমি তোমার মেয়ের সাথে আমার আট বছরের ছেলের বিবাহ দিতে চাই "। ব্যবসায়ী এই কথা শুনে খুব আনন্দিত হয়ে বলে "খুব ভালো প্রস্তাব আমি রাজি"।
তারপর শুভ দিন দেখে ব্যবসায়ীর পাঁচ বছরের মেয়ের সাথে বণিকের আট বছরের ছেলের বিবাহ হয়ে যায়। চারদিন খুব ধুমধাম করে বিবাহ অনুষ্ঠান হয়। অনেক লোক বিবাহ অনুষ্ঠানে ভোজন করে যায়।
এক সপ্তাহ খুব আনন্দে কাটাবার পর বণিক ব্যবসায়ী কে বলে "বন্ধু এবার বিদায় দাও আর তোমার মেয়ের যখন পনেরো বছর বয়স হবে আমার ছেলে এসে তাকে শশুরবাড়ি নিয়ে যাবে "। ব্যবসায়ী তাতে রাজি হয়। শেষে বণিক ও তার পরিবার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।
কালের নিয়ম অনুযায়ী বেশ কিছু বছর পার হয়ে যায় বণিকের ছেলের বয়স হয় আঠার বছর তার নাম চন্দ্রশেখর। একদিন বণিক তার ছেলেকে ডেকে বলল "বাবা এখন তুমি অনেক বড় হয়েছো বৌ মা ও নিশ্চয় এখন অনেক বড় হয়েছে। তুমি তোমার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বৌমা কে নিয়ে আসো।"
দিনক্ষণ ঠিক করে একদিন চন্দ্র ঘোড়ায় চেপে তার শশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় সে তার সাথে একজন চাকর কে নিয়ে যায়। সেখান পৌঁছাতে তাদের সাতদিন সময় লাগে। সেখান পৌঁছে চন্দ্র তার শ্বশুরমশাই কে প্রণাম করে বলল "এবার আপনার মেয়ে কে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দীন।"
ব্যবসায়ী বলল "বাবাজীবন তুমি আমাদের জামাই। তুমি এতদিন পরে এলে তোমায় এই ভাবে তো যেতে দিতে পারি না এখানে দু চার দিন থেকে তারপর না হয় যাবে।" অগত্যা চন্দ্র দু চার দিন থাকতে রাজি হল।
প্রথম দুদিন খুব ভালমন্দ খাওয়ানো হল জামাই কে।
রাতে যখন চন্দ্রর বৌ...
সে বহু কাল আগের কথা। সূর্যশেখর নামে এক বণিক বাস করত। তাকে বানিজ্য করতে দেশের নানান স্থানে ভ্রমণ করতে হতো।
একবার দুর এক দেশে ভ্রমণ করতে গিয়ে এক ব্যবসায়ীর সাথে সেই বণিকের পরিচয় হয় আর সেই সাথে দুজনের খুব বন্ধুত্ব হয়। একদিন ব্যবসায়ী সেই বণিক কে দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের আমন্ত্রণ করে। সেই মত বণিক ব্যবসায়ীর বাসায় হাজির হয়। ব্যবসায়ীর পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তান ছিল তাকে দেখে বণিকের খুব পছন্দ হয় সে ব্যবসায়ী কে বলে "আমি তোমার মেয়ের সাথে আমার আট বছরের ছেলের বিবাহ দিতে চাই "। ব্যবসায়ী এই কথা শুনে খুব আনন্দিত হয়ে বলে "খুব ভালো প্রস্তাব আমি রাজি"।
তারপর শুভ দিন দেখে ব্যবসায়ীর পাঁচ বছরের মেয়ের সাথে বণিকের আট বছরের ছেলের বিবাহ হয়ে যায়। চারদিন খুব ধুমধাম করে বিবাহ অনুষ্ঠান হয়। অনেক লোক বিবাহ অনুষ্ঠানে ভোজন করে যায়।
এক সপ্তাহ খুব আনন্দে কাটাবার পর বণিক ব্যবসায়ী কে বলে "বন্ধু এবার বিদায় দাও আর তোমার মেয়ের যখন পনেরো বছর বয়স হবে আমার ছেলে এসে তাকে শশুরবাড়ি নিয়ে যাবে "। ব্যবসায়ী তাতে রাজি হয়। শেষে বণিক ও তার পরিবার ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।
কালের নিয়ম অনুযায়ী বেশ কিছু বছর পার হয়ে যায় বণিকের ছেলের বয়স হয় আঠার বছর তার নাম চন্দ্রশেখর। একদিন বণিক তার ছেলেকে ডেকে বলল "বাবা এখন তুমি অনেক বড় হয়েছো বৌ মা ও নিশ্চয় এখন অনেক বড় হয়েছে। তুমি তোমার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বৌমা কে নিয়ে আসো।"
দিনক্ষণ ঠিক করে একদিন চন্দ্র ঘোড়ায় চেপে তার শশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় সে তার সাথে একজন চাকর কে নিয়ে যায়। সেখান পৌঁছাতে তাদের সাতদিন সময় লাগে। সেখান পৌঁছে চন্দ্র তার শ্বশুরমশাই কে প্রণাম করে বলল "এবার আপনার মেয়ে কে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দীন।"
ব্যবসায়ী বলল "বাবাজীবন তুমি আমাদের জামাই। তুমি এতদিন পরে এলে তোমায় এই ভাবে তো যেতে দিতে পারি না এখানে দু চার দিন থেকে তারপর না হয় যাবে।" অগত্যা চন্দ্র দু চার দিন থাকতে রাজি হল।
প্রথম দুদিন খুব ভালমন্দ খাওয়ানো হল জামাই কে।
রাতে যখন চন্দ্রর বৌ...