ঝাড়েশ্বর মন্দির
আজ বলবো সাড়ে তিনশো বছরের প্রাচীণ এক শিবমন্দির গল্প। লোক বিশ্বাস অনুযায়ী এখানে প্রার্থনা করলে নাকি সব ইচ্ছে পূরণ হয়। তাই স্থানীয়রা এই শিবমন্দিরকে ইচ্ছে পূরণের মন্দিরও বলে থাকেন । পশ্চিম মেদিনীপুরে চারপাশ গা ছম ছম করা পরিবেশ একেবার জঙ্গল বেষ্টিত এই মন্দির । তবু জঙ্গল পেরিয়েই এখানে আসেন ভক্তরা।
মেদিনীপুর থেকে আনন্দপুরের দূরত্ব ২৫ কিমি, সেখানেই ঝাড়েশ্বর শিব মন্দিরটি অবস্থিত ।পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুরের কানাশোল গ্রামে অবস্থিত এই মন্দিরটির ঠিক পাশেই রয়েছে ১৪ একরের বিশাল দিঘী আছে। ভক্তরা এই দীঘিতে ডুব দিয়ে স্নান করে সেই দীঘির জল নিয়ে শিবের মাথায় ঢেলে দেন।
এতে নাকি অসুখ বিসুখ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সন্তান প্রাপ্তিও হয় এমন কথাই বলেন ভক্ত মানুষরা।
মূল মন্দিরের সঙ্গে অনেকটাই বিষ্ণুপুরের মন্দিরের মিল আছে। ৩৯৫ বছর আগে মন্দিরটি তৈরি হয়েছিলো। আর এই মন্দিরের দেওয়াল জুড়ে পোড়া মাটির কাজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, রাসলীলা থেকে নর নারায়ণ, নারায়ণের অনন্ত শয্যা ।
মন্দিরে ১৮টি হাত যুক্ত মা দুর্গার মূর্তিও রয়েছে। আর মা দুর্গার মূর্তির সামনে রয়েছে শিবলিঙ্গটি।লোককথা অনুযায়ী এই গ্রামটি নাকি আগে ব্রাহ্মণ বর্জিত ছিল। আর জঙ্গলে ঘেরা ছিল। এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা ছিলো চাষ আর পশুপালনই । একসময়ে নাকি গ্রামের একটি গরু প্রতিদিন জঙ্গলের মধ্যে বুকে এবং একটি বট গাছের নীচে দাঁড়িয়ে দুধ দিত। সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে কলকাতা থেকে শীতলানন্দ মিত্র এসে সেই বটগাছের নীচে মাটি খুঁড়ে শিবলিঙ্গটি পান। কেউ বলেন গরুর মালিক , ব্রাহ্মণভূমের রাজা আলাল নাথ দেব , আড়িয়াদের পুরোহিত শীতলানন্দ মিশ্র ও স্বপ্ন দেখেন। এই শিবলিঙ্গটি ১৬২৯ খ্রিস্টাব্দে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল ঝাড়েশ্বর শিব।
প্রথমে বটগাছের নীচেই চালা করে শিবপুজো শুরু হয়েছিল। ১৮৫১ সালে সনাতন চৌধুরী আটচালা রীতির ভোগমন্দিরটি নির্মান করেন। এখানে নিত্য পুজোর পাশাপাশি প্রতিবছরে শ্রাবণী উৎসব, দুর্গাপুজো, শিবরাত্রির ব্রত ও চৈত্র সংক্রান্তির গাজন মেলা হয়ে থাকে।
কথিত আছে ১৮৩৪ খ্রীষ্টাব্দে নাড়াজোলের রাজা অযোধ্যা রাম খানের দেওয়ান রামনারায়ণ এসেছিলেন এই মন্দির। এই মন্দিরে প্রার্থনা করে,এক কঠিন অসুখ থেকে সেরে উঠেছিলেন । রাজা আলালনাথ দেব স্পনাদেশ পয়ে মন্দিরটি তৈরি করে দেন।রাজা আলাল নাথ দেব বিশাল দিঘী খনন করেন যা ৬৭ ফুট উঁচু এই মন্দিরের পাশে অবস্থিত। তাই এই দীঘিটি আলাল দীঘি নামেও পরিচিত।
ভক্তদের দাবি, এই মন্দিরে শিবের ব্রত পালন করলে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিঃসন্তান মায়ের কোলে সন্তান আসে। আর, এই সব কারণে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ভক্তরা ঝাড়েশ্বর শিবের মাথায় জল ঢালতে আসেন।সেই থেকে এই মন্দিরটি ইচ্ছে পূরণের মন্দির বলেই পরিচিত।
© Manab Mondal
মেদিনীপুর থেকে আনন্দপুরের দূরত্ব ২৫ কিমি, সেখানেই ঝাড়েশ্বর শিব মন্দিরটি অবস্থিত ।পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুরের কানাশোল গ্রামে অবস্থিত এই মন্দিরটির ঠিক পাশেই রয়েছে ১৪ একরের বিশাল দিঘী আছে। ভক্তরা এই দীঘিতে ডুব দিয়ে স্নান করে সেই দীঘির জল নিয়ে শিবের মাথায় ঢেলে দেন।
এতে নাকি অসুখ বিসুখ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সন্তান প্রাপ্তিও হয় এমন কথাই বলেন ভক্ত মানুষরা।
মূল মন্দিরের সঙ্গে অনেকটাই বিষ্ণুপুরের মন্দিরের মিল আছে। ৩৯৫ বছর আগে মন্দিরটি তৈরি হয়েছিলো। আর এই মন্দিরের দেওয়াল জুড়ে পোড়া মাটির কাজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, রাসলীলা থেকে নর নারায়ণ, নারায়ণের অনন্ত শয্যা ।
মন্দিরে ১৮টি হাত যুক্ত মা দুর্গার মূর্তিও রয়েছে। আর মা দুর্গার মূর্তির সামনে রয়েছে শিবলিঙ্গটি।লোককথা অনুযায়ী এই গ্রামটি নাকি আগে ব্রাহ্মণ বর্জিত ছিল। আর জঙ্গলে ঘেরা ছিল। এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা ছিলো চাষ আর পশুপালনই । একসময়ে নাকি গ্রামের একটি গরু প্রতিদিন জঙ্গলের মধ্যে বুকে এবং একটি বট গাছের নীচে দাঁড়িয়ে দুধ দিত। সেই দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে কলকাতা থেকে শীতলানন্দ মিত্র এসে সেই বটগাছের নীচে মাটি খুঁড়ে শিবলিঙ্গটি পান। কেউ বলেন গরুর মালিক , ব্রাহ্মণভূমের রাজা আলাল নাথ দেব , আড়িয়াদের পুরোহিত শীতলানন্দ মিশ্র ও স্বপ্ন দেখেন। এই শিবলিঙ্গটি ১৬২৯ খ্রিস্টাব্দে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী তিথিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল ঝাড়েশ্বর শিব।
প্রথমে বটগাছের নীচেই চালা করে শিবপুজো শুরু হয়েছিল। ১৮৫১ সালে সনাতন চৌধুরী আটচালা রীতির ভোগমন্দিরটি নির্মান করেন। এখানে নিত্য পুজোর পাশাপাশি প্রতিবছরে শ্রাবণী উৎসব, দুর্গাপুজো, শিবরাত্রির ব্রত ও চৈত্র সংক্রান্তির গাজন মেলা হয়ে থাকে।
কথিত আছে ১৮৩৪ খ্রীষ্টাব্দে নাড়াজোলের রাজা অযোধ্যা রাম খানের দেওয়ান রামনারায়ণ এসেছিলেন এই মন্দির। এই মন্দিরে প্রার্থনা করে,এক কঠিন অসুখ থেকে সেরে উঠেছিলেন । রাজা আলালনাথ দেব স্পনাদেশ পয়ে মন্দিরটি তৈরি করে দেন।রাজা আলাল নাথ দেব বিশাল দিঘী খনন করেন যা ৬৭ ফুট উঁচু এই মন্দিরের পাশে অবস্থিত। তাই এই দীঘিটি আলাল দীঘি নামেও পরিচিত।
ভক্তদের দাবি, এই মন্দিরে শিবের ব্রত পালন করলে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিঃসন্তান মায়ের কোলে সন্তান আসে। আর, এই সব কারণে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ভক্তরা ঝাড়েশ্বর শিবের মাথায় জল ঢালতে আসেন।সেই থেকে এই মন্দিরটি ইচ্ছে পূরণের মন্দির বলেই পরিচিত।
© Manab Mondal