এপ্রিল ফুলের গপ্পো
এপ্রিল ফুলের গপ্পো
•••••••••••••••••••••••
আজকাল খুব করুণা হয়! বিশ্বাস করুন, সত্যিই করুণা হয়। না না, করোনা (Novel Corona Covid-19) নয়, করুণা, pity. কার ওপর? কার ওপর আবার! নিজের ওপর। ঘেন্নাও হয়। আর যেটা হয়, সেটা হল প্রচন্ড রাগ। না, প্রথম যৌবনের আবেগে করে ফেলা কোনো ভুল নয়; সেটা ছিল পরিণত যৌবনের আত্মসচেতন নিমগ্ন সমর্পণ! অবুঝ ছিলাম তখনো, এখনো যেমন আছি। তবে ম্যাচুরিটি এসেছে অনেক। অনুভূতিগুলো এতটাই প্রবল ছিল যে, দু’বছর ধরে আমার মনে সে অনুরণিত হয়েছে প্রতিটি অবসরে, প্রতিটি ঋতুতে, প্রতিটি স্থানে, এমনকি কন্টকাকীর্ণ পথেও! কিন্তু তারপরেও সে বোঝেনি, অপমান করেছে, আবার অনুতপ্তও হয়েছে। কিন্তু আমি তার জন্য জীবনে ঠিক কী কী করেছি, তা খুব কম মানুষই জানেন। তারপরেও কোনো সাড়া পাই নি। সে বোঝেই নি কোনোদিন! কোনো যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সে আজ অনেক উঁচুতে অবস্থান করছে, চাটুকারদেরও পেয়েছে। আর আমি? যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যে তিমিরে, সেই তিমিরেই রয়ে গেছি—scratching and clawing my existence to a vast nowhere! এখন আর যোগাযোগের চেষ্টা করি না কারণ এখন সে ‘এই পৃথিবীর কেউ নয়’ (she thinks, not me), হয়ত অন্য কোনো গ্রহের বা! তাছাড়া বহুদিন ধরেই সে অন্যের ঘরণী, তাই এসব ভেবে আর করবই বা কী! তার জন্য জীবনে অনেক কিছু ত্যাগ করেছি—এমন দাবি না করলেও জীবনের দু’দুটি অমূল্য বৎসর তো নষ্ট করেছি! সে জন্য অনুতাপ হয় না। শুধু ভাবি, এত বোকা ছিলাম আমি! অ্যাত্তো বোকা!
ঘৃণা হয় না তার প্রতি। করুণাও হয় না। শুধু রাগ হয়। রাগ এই কারণে হয় না যে, সে আমার অনুরাগ বোঝেনি—রাগ হয় এই কারণে যে, আজ সে যা যা করছে, বা সমাজের যে স্থানে অবস্থান করছে, তার সবটাই তার দেখনদারি বা চাটুকারিতার ফসল—সেসব পাওয়ার কোনো যোগ্যতাই তার নেই, কোনোদিন ছিলও না!
আজ বিশেষ একটি দিন! দু’বছর আগে যখন পৃথিবীটাকে খুব খুব রঙিন দেখতাম, তখন একটা লেখা লিখেছিলাম—তার জন্য (আরও অনেক কিছুই লিখেছিলাম। কিন্তু সব কিছু এখানে দিতে গেলে মহাভারত হয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যাবে। কাজেই...All I can say is that I've never written so many things for a single person in my entire life what I had written for her!)। অবিশ্যি এখন আমি বর্ণান্ধ! ওসব রামধনু-টামধোনু শুনলে আজকাল বেদম হাসি পায়! 😁😁😁😁😁😁
এখন তিনি সমাজের একজন মান্যগণ্য মানুষ। সকলে কত ভক্তি শ্রদ্ধা করে! মানে, যাকে বলে একদম মহানতার পরাকাষ্ঠা! অথচ যোগ্যতাই যদি উন্নতির মাপকাঠি হত, তাহলে ভয় হয়, আজ তিনি হয়তো কারো কাছে মুখ দেখাতেও পারতেন না।
আর আমি! আমি তো দিনগত পাপক্ষয় করেই চলেছি।
“বয়স বেড়েছে ঢের নরনারীদের;
ঈষৎ নিভেছে সূর্য নক্ষত্রের আলো;...”।
সেজন্য আমার কোনো অসুবিধা নেই। কারণ আজও সে আমাদের পৃথিবীতে আছে!
“কে হায় , হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে?”
দু’ দুটি বছর ধরে একজন মানুষ আমাকে নাগাড়ে এপ্রিল ফুল্ বানিয়ে গেল, আর আমি...
•••••••••••••••••••••••
আজকাল খুব করুণা হয়! বিশ্বাস করুন, সত্যিই করুণা হয়। না না, করোনা (Novel Corona Covid-19) নয়, করুণা, pity. কার ওপর? কার ওপর আবার! নিজের ওপর। ঘেন্নাও হয়। আর যেটা হয়, সেটা হল প্রচন্ড রাগ। না, প্রথম যৌবনের আবেগে করে ফেলা কোনো ভুল নয়; সেটা ছিল পরিণত যৌবনের আত্মসচেতন নিমগ্ন সমর্পণ! অবুঝ ছিলাম তখনো, এখনো যেমন আছি। তবে ম্যাচুরিটি এসেছে অনেক। অনুভূতিগুলো এতটাই প্রবল ছিল যে, দু’বছর ধরে আমার মনে সে অনুরণিত হয়েছে প্রতিটি অবসরে, প্রতিটি ঋতুতে, প্রতিটি স্থানে, এমনকি কন্টকাকীর্ণ পথেও! কিন্তু তারপরেও সে বোঝেনি, অপমান করেছে, আবার অনুতপ্তও হয়েছে। কিন্তু আমি তার জন্য জীবনে ঠিক কী কী করেছি, তা খুব কম মানুষই জানেন। তারপরেও কোনো সাড়া পাই নি। সে বোঝেই নি কোনোদিন! কোনো যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সে আজ অনেক উঁচুতে অবস্থান করছে, চাটুকারদেরও পেয়েছে। আর আমি? যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যে তিমিরে, সেই তিমিরেই রয়ে গেছি—scratching and clawing my existence to a vast nowhere! এখন আর যোগাযোগের চেষ্টা করি না কারণ এখন সে ‘এই পৃথিবীর কেউ নয়’ (she thinks, not me), হয়ত অন্য কোনো গ্রহের বা! তাছাড়া বহুদিন ধরেই সে অন্যের ঘরণী, তাই এসব ভেবে আর করবই বা কী! তার জন্য জীবনে অনেক কিছু ত্যাগ করেছি—এমন দাবি না করলেও জীবনের দু’দুটি অমূল্য বৎসর তো নষ্ট করেছি! সে জন্য অনুতাপ হয় না। শুধু ভাবি, এত বোকা ছিলাম আমি! অ্যাত্তো বোকা!
ঘৃণা হয় না তার প্রতি। করুণাও হয় না। শুধু রাগ হয়। রাগ এই কারণে হয় না যে, সে আমার অনুরাগ বোঝেনি—রাগ হয় এই কারণে যে, আজ সে যা যা করছে, বা সমাজের যে স্থানে অবস্থান করছে, তার সবটাই তার দেখনদারি বা চাটুকারিতার ফসল—সেসব পাওয়ার কোনো যোগ্যতাই তার নেই, কোনোদিন ছিলও না!
আজ বিশেষ একটি দিন! দু’বছর আগে যখন পৃথিবীটাকে খুব খুব রঙিন দেখতাম, তখন একটা লেখা লিখেছিলাম—তার জন্য (আরও অনেক কিছুই লিখেছিলাম। কিন্তু সব কিছু এখানে দিতে গেলে মহাভারত হয়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যাবে। কাজেই...All I can say is that I've never written so many things for a single person in my entire life what I had written for her!)। অবিশ্যি এখন আমি বর্ণান্ধ! ওসব রামধনু-টামধোনু শুনলে আজকাল বেদম হাসি পায়! 😁😁😁😁😁😁
এখন তিনি সমাজের একজন মান্যগণ্য মানুষ। সকলে কত ভক্তি শ্রদ্ধা করে! মানে, যাকে বলে একদম মহানতার পরাকাষ্ঠা! অথচ যোগ্যতাই যদি উন্নতির মাপকাঠি হত, তাহলে ভয় হয়, আজ তিনি হয়তো কারো কাছে মুখ দেখাতেও পারতেন না।
আর আমি! আমি তো দিনগত পাপক্ষয় করেই চলেছি।
“বয়স বেড়েছে ঢের নরনারীদের;
ঈষৎ নিভেছে সূর্য নক্ষত্রের আলো;...”।
সেজন্য আমার কোনো অসুবিধা নেই। কারণ আজও সে আমাদের পৃথিবীতে আছে!
“কে হায় , হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে?”
দু’ দুটি বছর ধরে একজন মানুষ আমাকে নাগাড়ে এপ্রিল ফুল্ বানিয়ে গেল, আর আমি...