সন্ধ্যে নামার পরে!
🔴(গল্পটি সম্পূর্ণভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য )
~~ সন্ধ্যে নামার পরে~~
© প্রসেনজিৎ ঘোষ
বিকেলের সূর্যোদয় কে দেখেছো কখনো? পশ্চিমের ঢালে ডুবে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে এক অদ্ভুত মায়াবী রাঙা আলোয় রাঙিয়ে দিয়ে যায় পুরো আকাশটা। যেন সময়টা, হটাৎ করেই থমকে দাঁড়ায় এক মুহূর্ত। আর ঠিক তারপরেই পশ্চিমের দিগন্তে আকাশ ছোয়া ইমারতের ভিড়ে আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। আর মাথার উপর জটলা পাকানো এক ঝাঁক কালচে পাখির দল তখনও সেই মিলিয়ে আসা আলোর মাঝে ভাসতে থাকে শূন্য থেকে শূন্যের ভিড়ে। কে জানে! ইমারত গুলোর জানালা কপাট হয়ত বন্ধই থাকে। তাইতো ভেতরে থাকা মানুষ গুলো জানতেই পারে না তাদেরই মাথার উপরে করা যেন পাক খেয়ে চলেছে অনবরত।
সময়টা রাত্রি আটটার কাছাকাছি। বহুতল আবাসনের মেইন গেট থেকে বিধ্বস্ত শরীরটা কোনো মতে টেনে হিচড়ে নিজেকে বাইরে বের করে নিয়ে আসে নাতাশা। এখান থেকে বেরিয়ে আবার তাকে যেতে হবে আরো এক কাস্টমার এর কাছে।
বহুতল থেকে বেরিয়েই সামনেটা মেইন রাস্তা। চার লেনের পিচ রাস্তার দিকে তাকিয়ে থেকে আজ কিছুটা যেনো অন্য মনস্ক হয়ে যাচ্ছিল নাতাশা। এই জাগাটায় সে এই প্রথম এলো। সামনে পিছনে কিছুই তার চেনা নেই। শুধু সে এটুকু জানে, মেইন রাস্তা থেকে ক্যাব ধরে তাকে রাজারহাটের মোড়ে নামতে হবে,সেখানে বাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে কাস্টমারের নম্বরে একটা ফোন করলেই, কাস্টমার ড্রাইভার পাঠিয়ে তাকে পিক করে নেবে।
ক্যাবে গাড়ি বুক করা সে সবে শিখেছে, কিন্তু ইংরেজিতে ঠিক জায়গার নাম টাইপ করতে তার বড্ড অসুবিধে। আসলে ইংরেজিতে তার বড্ড ভয়। একবার ভুল করে অন্য জায়গা বুক হয়ে গেলেই চরম বিপদ। সময় মতো কাস্টমার এর কাছে পৌঁছতে না পারলে, তার স্যালারি থেকে টাকা তো বাদ যাবেই। শুধু তাই নয়, বাইরে বেরিয়ে কাজে এলে এক্সট্রা যে টাকাটা সে পায় সেটাও পাবে না, উপরন্তু কাস্টমার খুশি হলে আরো কিছু বকশিস পাওয়া যায় , সর্বমোট অনেকটা টাকার লস।
নাতাশা খুব সাবধানের সাথে ফোনে ক্যাব বুক করার অপশনটা খুলে জায়গার নামটা সিলেক্ট করতে থাকে। যদিও জায়গার নাম গুলো, সুইটি আগে থেকেই ওর ফোনে সেভ করে দিয়েছিল, যাতে ভুল না হয়। সুইটি ওর সাথেই এক জাগায় কাজ করে। বাইপাসের কাছে একটি স্পা তেই ওরা এক সাথে কাজ করে। যদিও ওদের বাড়ির লোক কেউই জানে না যে ওরা আসলে কোথায় কাজ করে। অধিকাংশের বাড়িতেই জানে, হয় তারা বিউটি কেয়ারে অথবা কোনো মলে চাকরি করে। যদিও এই লাইনে কোনো মেয়ে, অভাবে না পরলে সচরাচর আসে না। এবং অনেকে এসেও খুব বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। তাই অনেক নতুন মেয়ে প্রতিমাসেই আসে আবার ছেড়ে দেয়। কিন্তু বিউটি মেয়েটি একটু বেশিই অন্য রকম। সে বাইপাসের এই স্পা এ আসার পর থেকে আর কোথাও ছেড়ে যায়নি। প্রথমে...
~~ সন্ধ্যে নামার পরে~~
© প্রসেনজিৎ ঘোষ
বিকেলের সূর্যোদয় কে দেখেছো কখনো? পশ্চিমের ঢালে ডুবে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে এক অদ্ভুত মায়াবী রাঙা আলোয় রাঙিয়ে দিয়ে যায় পুরো আকাশটা। যেন সময়টা, হটাৎ করেই থমকে দাঁড়ায় এক মুহূর্ত। আর ঠিক তারপরেই পশ্চিমের দিগন্তে আকাশ ছোয়া ইমারতের ভিড়ে আস্তে আস্তে হারিয়ে যায়। আর মাথার উপর জটলা পাকানো এক ঝাঁক কালচে পাখির দল তখনও সেই মিলিয়ে আসা আলোর মাঝে ভাসতে থাকে শূন্য থেকে শূন্যের ভিড়ে। কে জানে! ইমারত গুলোর জানালা কপাট হয়ত বন্ধই থাকে। তাইতো ভেতরে থাকা মানুষ গুলো জানতেই পারে না তাদেরই মাথার উপরে করা যেন পাক খেয়ে চলেছে অনবরত।
সময়টা রাত্রি আটটার কাছাকাছি। বহুতল আবাসনের মেইন গেট থেকে বিধ্বস্ত শরীরটা কোনো মতে টেনে হিচড়ে নিজেকে বাইরে বের করে নিয়ে আসে নাতাশা। এখান থেকে বেরিয়ে আবার তাকে যেতে হবে আরো এক কাস্টমার এর কাছে।
বহুতল থেকে বেরিয়েই সামনেটা মেইন রাস্তা। চার লেনের পিচ রাস্তার দিকে তাকিয়ে থেকে আজ কিছুটা যেনো অন্য মনস্ক হয়ে যাচ্ছিল নাতাশা। এই জাগাটায় সে এই প্রথম এলো। সামনে পিছনে কিছুই তার চেনা নেই। শুধু সে এটুকু জানে, মেইন রাস্তা থেকে ক্যাব ধরে তাকে রাজারহাটের মোড়ে নামতে হবে,সেখানে বাস স্ট্যান্ডে দাড়িয়ে কাস্টমারের নম্বরে একটা ফোন করলেই, কাস্টমার ড্রাইভার পাঠিয়ে তাকে পিক করে নেবে।
ক্যাবে গাড়ি বুক করা সে সবে শিখেছে, কিন্তু ইংরেজিতে ঠিক জায়গার নাম টাইপ করতে তার বড্ড অসুবিধে। আসলে ইংরেজিতে তার বড্ড ভয়। একবার ভুল করে অন্য জায়গা বুক হয়ে গেলেই চরম বিপদ। সময় মতো কাস্টমার এর কাছে পৌঁছতে না পারলে, তার স্যালারি থেকে টাকা তো বাদ যাবেই। শুধু তাই নয়, বাইরে বেরিয়ে কাজে এলে এক্সট্রা যে টাকাটা সে পায় সেটাও পাবে না, উপরন্তু কাস্টমার খুশি হলে আরো কিছু বকশিস পাওয়া যায় , সর্বমোট অনেকটা টাকার লস।
নাতাশা খুব সাবধানের সাথে ফোনে ক্যাব বুক করার অপশনটা খুলে জায়গার নামটা সিলেক্ট করতে থাকে। যদিও জায়গার নাম গুলো, সুইটি আগে থেকেই ওর ফোনে সেভ করে দিয়েছিল, যাতে ভুল না হয়। সুইটি ওর সাথেই এক জাগায় কাজ করে। বাইপাসের কাছে একটি স্পা তেই ওরা এক সাথে কাজ করে। যদিও ওদের বাড়ির লোক কেউই জানে না যে ওরা আসলে কোথায় কাজ করে। অধিকাংশের বাড়িতেই জানে, হয় তারা বিউটি কেয়ারে অথবা কোনো মলে চাকরি করে। যদিও এই লাইনে কোনো মেয়ে, অভাবে না পরলে সচরাচর আসে না। এবং অনেকে এসেও খুব বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। তাই অনেক নতুন মেয়ে প্রতিমাসেই আসে আবার ছেড়ে দেয়। কিন্তু বিউটি মেয়েটি একটু বেশিই অন্য রকম। সে বাইপাসের এই স্পা এ আসার পর থেকে আর কোথাও ছেড়ে যায়নি। প্রথমে...