...

9 views

একটা প্রেমের গল্প
শুভম আর দীপ্তি ছেলেবেলার বন্ধু।
খুব হাসিখুশি ছেলে। সহজ সরল স্বভাবের।কফি খেতে, আড্ডা মারতে ভালোবাসে। ভালো আবৃত্তি করে, গান গায়।চিরকাল সে শুভমকে নম্র স্বভাবের বলেই জানে। দুদিন আগেই দীপ্তির সাথে শুভমের বিয়ে হয়েছে। সকলেই এই বিয়েতে খুশি। তারা বিয়ের আগে নয় মাস প্রেম করে বিয়ে করেছে। কাজেই তার অমতে বিয়ে হয়েছে এমন নয়।কিন্তু কাল রাত্রে শুভম যা করেছে তাতে, তাকে
দীপ্তির ভয় লাগতে শুরু করেছে।

দীপ্তি সেদিন রাতে ঘরে গিয়ে বসেছে এমনি শুভম তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে।
ওর কোনো কথা না শুনে নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেয়। দীপ্তির সারা শরীর কোথাও আঁচড় কোথাও উগ্র প্রেমের চিহ্ন। সারা শরীরে যন্ত্রনা তীব্র।
চেনা মানুষের অচেনা ব্যবহারে সত্যিই সে আজ বিস্মিত ও হতবাক।
এই ঘটনার পর শুভমের মুখে অনুতাপের লেশমাত্র নেই। সে দিব্যি বন্ধুদের সাথে বসার ঘরে আড্ডা দিচ্ছে।

এদিকে দীপ্তির উঠে দাঁড়ালেও চলতে কষ্ট হচ্ছে। সে ভাবছে অচেনা কোনো লোক এই কাজ করতে পারে ভেবে সে চেনা মানুষকে বিয়ে করলো কিন্তু চেনা মানুষ তার কাছে অচেনা হয়ে গেল।
দুপুর খাবার সেরে যেই দীপ্তি ঘরে গেল শুভম তাকে দেখে ঘরে ঢুকলো। শুভম দীপ্তির হাতটা ধরতেই সে নিজেই লক্ষ্য করলো দীপ্তির কব্জিতে আঘাতের চিহ্ন।
সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে দীপ্তির কাছে ক্ষমা চাইলো।তার কাছে কাঁদলো। তাকে যত্ন করে ওষুধ লাগিয়ে দিলো আর নিজে সোফায় শুতে গেল। দীপ্তি বুঝলো ক্ষনিকের জন্য সে ভুল বুঝেছিল শুভমকে।সে আজও সেই পুরোনো ভালো বন্ধুই আছে।