তালের বড়া
ছোট গোপাল জানতো না , বেড়া দিয়ে মালিক হয়ে যায় , জমি জায়গার মানুষেরা । দিদির সাথে,ও জঙ্গলে গিয়ে চুবড়ি, আলু , ওল, তাল, আম, পিয়ারা সবতো কুড়িয়ে নিয়ে আসে ওরা।কেউ কিছু বলে না। পশু পাখিরাও খায় কেউ কিছু বলে না।বোসেদের পুকুরের দুটো তাল পড়ে থাকতে দেখে লাফ দিয়ে নিয়ে ও এলো ।ওর রসগোল্লা পান্তূয়ার মতো মিষ্টি জোটেনা কখনো । তালের বড়া খেতে পারলেই ওর কাছে অনেক পাওয়া।
কিন্তু ঘটনাটা আমিনী বেগম চোখে পড়তেই । অসভ্য গালিগালাজ দিতে শুরু করলো। গত দুইদিন আগে চুরি যাওয়া কুমড়ো কথা তুললো।গোপাল ই নাকি সেই কুমড়া চুরি করেছে সেই অপবাদ দিতে থাকলো। ওর সাথে পায়ের ওপর পা দিয়ে ঝগড়া করার মানসিকতা নেই গোপালের মায়ের। গোপালকে ঘা কত দিয়ে, তাল দুটো ফেলে দিয়ে চলে গেলো ওদের মা।
যদিও টেপি, গোপালের হয়ে সাফাই দিয়ে বললো। " তোমার কুমড়ো ভাই কিভাবে নেবে। ভাই ছোট মানুষ, ওতো কুমড়ো চাগাতেই পাড়বে না।, কুমড়ো চোর বলে ভাইকে দোষ দিচ্ছো কেন ওকে?"
আমিনা বিবি গলা খেঁকিয়ে উঠলো " ওরে রেন্ডি মাগি, তোরা চোর নয় ডাকাত, তোদের জন্মের ঠিক নাই। তোর ভাই একা চুরি করবে কেন তোরা দুজনে মিলে চুরি করেছিস।"
"রেন্ডি মাগি" কথাটার অর্থ টেপি, এখন বোঝে। ও ওর বাবা কে ওরা জানে না। দেশ ভাগের সময় অনেক মিলেই ওর মাকে ধর্ষণ করেছিলো। তাই ওর মা জানে না কে ওর বাবা। পরে কাজী সাহেব ওদের আশ্রয় দেয়। বিনিময়ে লোকজন না থাকলে ওর মায়ের কাছে কাজী সাহেব আসে। কখনো কাজীর বাড়িতে ও যায় ওর মা । যদিও ও সময় ওকে ঘর থাকতে দেয় না ওর মা। হঠাৎ করে ওর মা গোপালকে জন্ম দিলো। ওর মা ওর ভাইয়ের নাম গোপাল রেখেছে কারণ গোপালের মতো ওর ভাই নাকি ওদের দুঃখ কষ্ট দূর করবে।
কাজীর বেগম আমিনা বিবি টেপিদের দু চোখে দেখেতে পারে না। কারণ টা এখন বুঝতে পেরে টেপি। আমিনা বেগম যতোই বিষ নজরে দেখুক ওদের। টেপির মায়া হয় আমিনার ওপর। কারণ কাজী সাহেবকে কিছু বলার সাহস নেই ওর। কাজী বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকে তালাক দিয়ে দেবো। আমিনা চুপ করে যায়। আমিনা ও বড়ো অসহায়
টেপি ঠিক করছে ও অসহায় থাকবে না। তালের কোন মূল্য নেই কিন্তু তালের বড়ার চাহিদা আছে। টেপি বুঝতে পেরেছে, ছলাকলা জানা মেয়েদেরকেই পুরুষরা মূল্য দেয়।আমিনা বিবির ভাই টেপি পিছনে বেশি ঘোরাঘুরি করছে এখন। বাজে ভাবে স্পর্শ করে সুযোগ পেলেই। টেপি বুঝতে পেরেছে ওর ডাসা বয়স এখন বহু পুরুষ ওর কাছে ঘুরাঘুরি করবে। ঠিক মিষ্টি গন্ধ পেয়ে মাছি আসে।
তাল নিয়ে তুলকালাম হয়ে যাবার খবরটা আমিনা বিবির ভাই সালেমের কানে পৌছাতে দেরি হয় নি। শোকোর কাছে একা পেয়ে সালেম টেপি বললো। " ভাইকে তালের বড়া খাওয়াবি না টেপি। আমার থেকে তাল নিয়ে যা। আর তুই চাইলে মেলা থেকে জিলিপি ও নিয়ে এসে খাওয়া বো দুই জনকে??"
টেপি অন্য দিন কিছু উত্তর দেয় না ওর কথায়। আজ জিজ্ঞেস করলো, " তুই আমাকে কি তাল এমনি দিবি নাকি??"
সলাম আমতা আমতা করতে থাকলো। টেপি " বুঝতে পারি তুই কি চাস, শুধু তাল দিয়ে তালের বড়া হয় না, তেল চাই , চিনি চাই, দিবি তুই আমাকে?? এমনি এমনি??"
সালেম আমতা আমতা করে বলল "সব দেবো, সব দেবো শুধু "
টেপি "শুধু কি?"
সালেম কথা বলতে পারলো না। টেপি ওকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে চুমু খেয়ে নিয়ে বললো। যা মিষ্টি মুখ করে দিলাম, আজ তোর ঘর থেকে চাল, চিনি চুরি করে আন আমার জন্য। আমিও ভাইয়ের জন্য মিষ্টি পায়েস করে দেবো।"
টেপি সালেমকে চোর বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু করলো। পুরুষের মন চুরির চলা কলা ও শিখে নিয়েছে। ও মনে মনে বললো "নষ্ট মেয়ে হবার আগে আমিনা বেগম ঘরের ছেলে গুলোকে নষ্ট করে ছাড়বো আমি।"
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
© Manab Mondal
কিন্তু ঘটনাটা আমিনী বেগম চোখে পড়তেই । অসভ্য গালিগালাজ দিতে শুরু করলো। গত দুইদিন আগে চুরি যাওয়া কুমড়ো কথা তুললো।গোপাল ই নাকি সেই কুমড়া চুরি করেছে সেই অপবাদ দিতে থাকলো। ওর সাথে পায়ের ওপর পা দিয়ে ঝগড়া করার মানসিকতা নেই গোপালের মায়ের। গোপালকে ঘা কত দিয়ে, তাল দুটো ফেলে দিয়ে চলে গেলো ওদের মা।
যদিও টেপি, গোপালের হয়ে সাফাই দিয়ে বললো। " তোমার কুমড়ো ভাই কিভাবে নেবে। ভাই ছোট মানুষ, ওতো কুমড়ো চাগাতেই পাড়বে না।, কুমড়ো চোর বলে ভাইকে দোষ দিচ্ছো কেন ওকে?"
আমিনা বিবি গলা খেঁকিয়ে উঠলো " ওরে রেন্ডি মাগি, তোরা চোর নয় ডাকাত, তোদের জন্মের ঠিক নাই। তোর ভাই একা চুরি করবে কেন তোরা দুজনে মিলে চুরি করেছিস।"
"রেন্ডি মাগি" কথাটার অর্থ টেপি, এখন বোঝে। ও ওর বাবা কে ওরা জানে না। দেশ ভাগের সময় অনেক মিলেই ওর মাকে ধর্ষণ করেছিলো। তাই ওর মা জানে না কে ওর বাবা। পরে কাজী সাহেব ওদের আশ্রয় দেয়। বিনিময়ে লোকজন না থাকলে ওর মায়ের কাছে কাজী সাহেব আসে। কখনো কাজীর বাড়িতে ও যায় ওর মা । যদিও ও সময় ওকে ঘর থাকতে দেয় না ওর মা। হঠাৎ করে ওর মা গোপালকে জন্ম দিলো। ওর মা ওর ভাইয়ের নাম গোপাল রেখেছে কারণ গোপালের মতো ওর ভাই নাকি ওদের দুঃখ কষ্ট দূর করবে।
কাজীর বেগম আমিনা বিবি টেপিদের দু চোখে দেখেতে পারে না। কারণ টা এখন বুঝতে পেরে টেপি। আমিনা বেগম যতোই বিষ নজরে দেখুক ওদের। টেপির মায়া হয় আমিনার ওপর। কারণ কাজী সাহেবকে কিছু বলার সাহস নেই ওর। কাজী বলে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোকে তালাক দিয়ে দেবো। আমিনা চুপ করে যায়। আমিনা ও বড়ো অসহায়
টেপি ঠিক করছে ও অসহায় থাকবে না। তালের কোন মূল্য নেই কিন্তু তালের বড়ার চাহিদা আছে। টেপি বুঝতে পেরেছে, ছলাকলা জানা মেয়েদেরকেই পুরুষরা মূল্য দেয়।আমিনা বিবির ভাই টেপি পিছনে বেশি ঘোরাঘুরি করছে এখন। বাজে ভাবে স্পর্শ করে সুযোগ পেলেই। টেপি বুঝতে পেরেছে ওর ডাসা বয়স এখন বহু পুরুষ ওর কাছে ঘুরাঘুরি করবে। ঠিক মিষ্টি গন্ধ পেয়ে মাছি আসে।
তাল নিয়ে তুলকালাম হয়ে যাবার খবরটা আমিনা বিবির ভাই সালেমের কানে পৌছাতে দেরি হয় নি। শোকোর কাছে একা পেয়ে সালেম টেপি বললো। " ভাইকে তালের বড়া খাওয়াবি না টেপি। আমার থেকে তাল নিয়ে যা। আর তুই চাইলে মেলা থেকে জিলিপি ও নিয়ে এসে খাওয়া বো দুই জনকে??"
টেপি অন্য দিন কিছু উত্তর দেয় না ওর কথায়। আজ জিজ্ঞেস করলো, " তুই আমাকে কি তাল এমনি দিবি নাকি??"
সলাম আমতা আমতা করতে থাকলো। টেপি " বুঝতে পারি তুই কি চাস, শুধু তাল দিয়ে তালের বড়া হয় না, তেল চাই , চিনি চাই, দিবি তুই আমাকে?? এমনি এমনি??"
সালেম আমতা আমতা করে বলল "সব দেবো, সব দেবো শুধু "
টেপি "শুধু কি?"
সালেম কথা বলতে পারলো না। টেপি ওকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে চুমু খেয়ে নিয়ে বললো। যা মিষ্টি মুখ করে দিলাম, আজ তোর ঘর থেকে চাল, চিনি চুরি করে আন আমার জন্য। আমিও ভাইয়ের জন্য মিষ্টি পায়েস করে দেবো।"
টেপি সালেমকে চোর বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু করলো। পুরুষের মন চুরির চলা কলা ও শিখে নিয়েছে। ও মনে মনে বললো "নষ্ট মেয়ে হবার আগে আমিনা বেগম ঘরের ছেলে গুলোকে নষ্ট করে ছাড়বো আমি।"
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
© Manab Mondal