...

1 views

নারী
আমার বিষন্ন দিন ভিজে গেছে ঘামে,
তোমরা শরীর টুকু কিনেছো অল্প দামে৷
অভাবের সংসারে জন্মেছিলেম যবে,
সেদিন হতে ছন্নছাড়া সভ্যতার ভবে৷
মাও মরল বাবাও মরল কপাল দোষে,
আমার শরীর বিক্রিই হল টাকা রোষে৷
আমার যদি থাকতো টাকা দেরাজ ভরে,
তখন আমি বেঁচে যেতাম বরাত জোরে৷
জঠর জ্বালায় পাততে হোত না হাত,
আত্মীয় সুযোগ বুঝে তখন দিতো সাথ৷
তখন আমার অল্প বয়স সবটা কী বুঝি,
নিজের জন্য ভরসারি আশ্রয়টাই খুঁজি৷
পৌঁছে গেলাম মামার বাড়ি মামার সাথে,
পড়লাম গিয়ে শিক্ষে নিতে মামীর হাতে৷
মামার আবার মেয়েও আছে সমবয়সী,
পাড়ায় সবাই বলতো -আমিই রূপসী৷
তাই না শুনে মামীর গাল উঠতো ফুলে,
পাঠাতো না তাই কখনো আমায় ইস্কুলে৷
বাড়ি সব কাজের দায় চাপালো মাথায়,
শৈশবের দরদখানি বুঝলো নাতো হায়৷
হঠাৎ হঠাৎ হুকুম করেন থেকে থেকে,
নাই পারলে গালিও দেন হেঁকে হেঁকে৷
তারপরেও পিটুনিদেন ওজর করে,
আমি শুধু বেঁচেছিলুম মনের জোরে৷
যেই না হলাম কিশোরী বালিকা আমি,
বিয়ের বয়স হচ্ছে বলে ভাবলো মামী৷
নিজের মেয়ের ভালো পাত্র পাবে বলে,
আমায় দিলে বিক্রি করে কাজের ছলে৷
এখন আমিই বন্দিনী এই নরক বাসে,
পুরুষদের কামনা মেটাই টাকার আশে৷
তাতেও কী সম্পূর্ন দাবী রাখতে পারি,
আমি যে বাঁদী অপরের কেনা এক নারী৷