...

28 views

কবিতা- নারী
না রী

মোঃ আতাউল করিম

আমি বাঁচতে চেয়েও বাঁচতে পারিনা,
চিৎকারগুলি বারবার ঘুরপাক খায়,
নিরাপত্তার আস্তরণ গুমরে কাঁদে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে,
আমি যে এক নারী,
আমার আছে যত দূর্বলতা, আছে সীমাবদ্ধতা,
আমাকে একা চলতে গেলে দেখতে হয়-
কেউ থমকে দাঁড়িয়ে আছে,
কেউ পথ আগলিয়ে আছে,
দিচ্ছে কেউ শিস, মাপছে কেউ শরীর।
দেখছেনা আমার বয়স, শিশু হই কিংবা বৃদ্ধা, যুবতী বা উম্মাদ।
তাদের দরকার হয় নারী শরীরের ঘ্রাণ, দুই থোক মাংসপিণ্ড আরত্ত কিছু।
তাদের লোলুপ লোচন দেখে আমি আঁতকে উঠি, ভয়ে ঘাম বেয়ে শিরদাঁড়া বয়ে যায়,
আমি না থাকি মায়ের অভিজন, তাদের বোনের প্রতিম!
আমি একা, নির্জন হলেই আমার উপর খামছে পড়ে তাদের শকুন আচড়,
মানেনা তারা আমার শারীরিক অবস্থা, অনেকে একত্র হয়ে চালায় উপর্যুপরি নির্যাতন।
এক সময় আমার শরীর নিস্তেজ হলে তারা আরো বেপরোয়া হয়,
আমার প্রতিটি অঙ্গ কেটে বিকৃত মানুষিকতায় করে বন্য উল্লাস।

আমিই যতই দেশের হাল ধরি, শিক্ষার মান রাখি সমুজ্জ্বল,
সমাজের প্রতিটি পরতে পরতে রাখি অবদান,
এসব তাদের কাছে নেহাত তুচ্ছ, তারা বুঝে শুধু আমার শরীর, ভাঁজে ভাঁজে আঁকে দরিয়া,
সেখানে গোপনে অনাকাঙ্ক্ষিত দাঁড় বেয়ে যেতে চায়।
লালসার রসনা থেকে রেহাই পায় না কোন অঙ্গ।
ভক্ষণ করে যায় অনায়েসে,
আমাদের উপর নির্যাতন যেন তাদের পুরুষত্ব প্রকাশ,
নারী জাতি তাদের কাছে শুধুই ভোগের আরাধনার বস্তু।

২০/০৮/২০২০খ্রি.
©ataulkarim