...

2 views

কবিতা - সৈনিক 🇨🇮
শৈশবকাল থেকেই ওদের বুকে কামানের শব্দ ;
চোখে সূর্যের তেজ ;
আর কপালে রক্ত দিয়ে আঁকা জয়ের গাঢ় লাল টিপ।
ওদের শরীরে লেগে থাকে পতাকার রঙ;
আর মনে অশোকচক্রের শান্তি।
ওরা ভালোবাসে স্বাধীনতার রামধনু।
চিলেরা এসে সংবাদ দিলেই -
ওরা এগিয়ে যায় যুদ্ধে।
তারপর -
রোদের তীক্ষ্ণ আঘাত -
ওদের বর্ম ভেদ করে ঘাম নিয়ে আসে ;
আগুনের ধোঁয়ায় কর্কশ হয়ে যায় ওদের মুখের কোমলতা ;
ওদের মধ্যে কারোর কারোর দেশপ্রেম -
অন্ধের মতো।
উন্মাদ হয়ে ছুটে যায় ঘাসের ওপর।
বলে - " সন্ত্রাসবাদের কূটনৈতিক এবং গাণিতিক ছক থেকে এই দেশের মাটিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার।"
আর ঠিক তখনই গুলি এসে লাগে তাঁদের হৃদয়ের সবুজ গহ্বরে।
হঠাৎ করেই মা,মাটি,মানুষের চিন্তাগুলো ঢলে পড়ে মৃত্যুতে।
এক নিগূঢ় পবিত্র অন্ধকারে ঢেকে যায় চারপাশ।
প্রাকৃতিক মশারির ভেতর শুয়ে থাকে কিছু নিষ্পাপ দেশপ্রেমিক।
এককোটি নক্ষত্রের স্নিগ্ধতা কিছু রক্তাক্ত হৃদয়ের দিকে পাথরের মতো তাকিয়ে থাকে।
ওদের পরিবার,পরিজনের নাকে তখন একচিলতে নিঃস্ব আলোর গন্ধ।
এই পবিত্র ত্যাগের মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছে দেশের মানুষের নিরাপত্তা।
তাই তো তারা ওই পবিত্র ত্যাগকে ঈশ্বর বলে মনে করে।
ধূপকাঠি জ্বেলে ফুলের বাসর সাজায়।
এবং অন্তরের সর্বোচ্চ শিখা প্রজ্জ্বলিত করে প্রনাম জানিয়ে বলে -
" ভালো থেকো সৈনিক , পরজন্মে দেশপ্রেমের আঁতুরঘরে তুমি নীল আকাশ হয়ে জন্মিও, যাঁর বুকে গড়ে ওঠে বজ্র ও মেঘের মারণ কণা,অনন্তের মতো বুক ছড়িয়ে দিলেও যাঁকে আঘাত করা যায় না,অমৃত পান করে সেদিন তুমি হবে এক এবং অদ্বিতীয়।"


© সাহিত্যের নায়াগ্রা❤️