...

4 views

রহস্যময় কাগজ:ভাগ পাঁচ
রাহুল তখন মধুবন্তীর মেয়ে রিয়া ও মিতার সাথে কথা বলতে ব্যস্ত। দুজনেই কলেজের ছাত্রী। রাহুল রিয়াকে জিজ্ঞেস করলো, "এ সব থেকে তুমি কি বুঝতে পারছো?" রিয়া জবাব দিল "আমার মা সবসময় তার নিউজের কাজে ব্যস্ত থাকে, খুব কমই আমাদের জন্য সময় পায়। তাই আমি জানি না।" রাহুল: "বাড়ি ফিরে তুমি কি দেখছিলে?" রিয়া: "আমরা মায়ের সাথে কথা বলেছিলাম আগের রাতে এবং সবকিছু ঠিক ছিল। কিন্তু আমরা যখন এখানে আষি তখন আমরা এখানে মাকে খুঁজে পাইনি এবং দরজাটিও ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।" রাহুল: "এই বাড়ির কয়টি চাবি আছে?" রিয়া:"দুটো।একটা আমাদের কাছে ছিল আর অন্যটা মায়ের কাছে।"রাহুল:"ওকে মিস রিয়া তুমি যেতে পারো। প্লিজ মিতাকে এখানে ডেকে দিও।" মিতা প্রবেশ করল। সে আপসেট ছিল। সে রাহুলকে প্রায় একই কথা বলল। সবশেষে সে বলল, "আমাদের মাকে খুঁজে বের করুন। আমরা জানি না মা কোথায় আছে।" রাহুল তখন সৈকত, রিয়া এবং মিতাকে একসাথে ডেকে "এটা মিসেস মধুবন্তীর কিডন্যাপিং কেস বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা খুব একটা নিশ্চিত নই। আপনি কি জানেন যে তিনি কোন নতুন জিনিস নিয়ে কাজ করছিল।" সৈকত বলল, "মনে হচ্ছিল মধুবন্তী কিছু গ্যাং সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে কিন্তু সে আমাদের বিস্তারিত কিছু জানায়নি।" রাহুল মাথা নেড়ে ওদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল।

অমৃতা ধীরে ধীরে চেতনা ফিরে পায়।ও নিজেকে একটি অন্ধকার ঘরের মাটিতে পায়।ঠিক কি ঘটেছিল তা মনে করার চেষ্টা করেছিল।সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সে মধুবন্তীর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল যখন তার মাথায় কিছু আঘাত হানে এবং সে অজ্ঞান হয়ে যায়।অমৃতা জানত যে তাকে যে তাকে ধরেছে সে মধুবন্তীর নিখোঁজ হওয়ার সাথেও সম্পর্কিত। হঠাৎ একটি শোরগোল হয় এবং কয়েকজন মুখোশধারী লোক ঘরে প্রবেশ করে। একজন অমৃতার দিকে বন্দুক দেখিয়ে বলে "মিস অমৃতা আপনি মধুবন্তীকে খুঁজে পেতে খুব আগ্রহী, তাই না? ওকে ভুলে যান এবং নিজের কাজ পরিচালনা করুন। আপনি মধুবন্তীকে সহজে পাবেন না। আমাদের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। আপনি ওর বাইরে থাচুন।" এই বলে সে রুম থেকে বের হয়ে গেল এবং মুখোশধারী অন্য লোকদের অমৃতার দিকে নজর রাখার ইঙ্গিত করল। কিন্তু অমৃতা তাদের একজনের ফোন ধরতে সক্ষম হল এবং দ্রুত রাহুলকে মেসেজ পাঠাল।

শহরের অন্য একটি অন্ধকার কোণে মধুবন্তীর লম্বা চুল নিয়ে খেলা চলতে থাকে। মনে হচ্ছিল লোকটি মধুবন্তীর লম্বা চুলে মগ্ন এবং মনে হল সে এর মধ্যে কিছু রহস্য খুঁজে পেয়েছে। একজন মুখোশধারী পুরুষ এবং একজন মুখোশধারী মহিলা ঘরে প্রবেশ করল। লোকটি মহিলাটিকে বলল, "মনে হচ্ছে মধুবন্তীর চুলের প্রতি তার খুব ভালো লাগা তৈরি হয়েছে।" তারপর সে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই লোকটিকে বলল, "মনে হচ্ছে তুমি মধুবন্তীকে চুলের রাণী মনে করো।" তারপর সে মধুবন্তীর চুল ঘনিষ্ঠভাবে পরীক্ষা করে তাকে বললেন, "সুন্দরী, আমি বুঝতে পারি কেন সে তোমার চুলের প্রতি আকৃষ্ট,তোমার লম্বা ঘন নরম মসৃণ চুলের জন্যই,খারাপ ব্যপার এই যে আমাদের তোমার মতো রমণীকে কিডন্যাপ করে ধরে রাখতে হয়েছে।তাড়াতাড়ি সেই কাগজের সন্ধান বলে দাও।" কিন্তু মধুবন্তী বিদ্বেষী ছিল এবং নীরব ছিল। মধুবন্তীর লম্বা চুলের ঘ্রাণ নেওয়া আর খেলা পছন্দ ছিল না। মুখোশধারী মহিলাটি তখন লোকটিকে বলল, "মনে হচ্ছে না যে মধুবন্তী আমাদের কিছু বলবে, আমরা কি তার পরিবারকে টাকার জন্য ব্ল্যাকমেইল করব।" লোকটি মাথা নেড়ে বলল, "আর একটু চেষ্টা করি।"

এদিকে অমৃতাকে যে বাড়িতে রাখা হয়েছিল সেখানে গুলির শব্দ শোনা যায়। যে লোকেরা অমৃতাকে ধরেছিল তারা শীঘ্রই পরাভূত হয়ে যায় এবং রাহুল ভবনের ভিতরে গিয়ে অমৃতাকে বের করে নিয়ে আসে। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করে নেয়। রাহুল অমৃতাকে বলল "এটা ভাল হয়েছে যে আমি তোমাকে খুঁজে পেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে এই দুষ্কৃতীরাও মধুবন্তীর কিডন্যাপিংয়ের সাথে জড়িত। আমরা তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানা যাবে।"